স্কুলে লম্বা ছুটি থাকলেই সিনেমার শ্যুটিং
সেটে যাওয়ার জন্য বাবার সঙ্গে বেরিয়ে পড়ত ছেলেটা। তবে শ্যুটিং দেখতে নয়,
কাজ করতে। অবিভক্ত মেদিনীপুরের অখ্যাত গ্রাম থেকে আসা গুরু অধিকারী
কেটারিং-এর ব্যবসা চালাতেন মুম্বাইয়ে। বিভিন্ন শ্যুটিং ইউনিটে খাবার
যোগানের কাজ করতেন তিনি।
এদিকে ছুটি
থাকলে বাবাকে সাহায্য করত ছেলে দীপক। রান্না করতে না পারলেও বাজার করা‚
কর্মীদের কাজ তদারকি করাই ছিল দীপকের দায়িত্ব। ইয়েস বস-সহ আরও অনেক সিনেমায়
শাহরুখ খানকে নিজের হাতে খাবার পরিবেশন করে দিয়েছিল সেই ছেলেটি। দরকারে
বাসনপত্রও পরিষ্কার করতেন।
বাবা কি আর
জানতেন এভাবেই তিনি ছেলের মধ্যে বুনে দিচ্ছেন সিনেমার বীজ, অভিনয়ের নেশা!
সেই ছেলে একসময় বড় হয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হলেন। কিন্তু অন্য কিছু
নির্ধারিত ছিল তার জন্য। চলে এলেন অভিনেতা হতে।
আজ
তিনি দীপক অধিকারী থেকে দেব। নায়ক দেব। ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী।
কিন্তু ভুলে যানননি শিকড়কে। বাবার পেশাকে সম্মান জানিয়ে দেব খুলেছেন
রেস্তোরাঁ। কলকাতার অভিজাত সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে তার রেস্তোরার নাম টলি
টেলস।
টালিগঞ্জের ইন্ডাস্ট্রির প্রতিও
এই রেস্তোরাঁ একটা শ্রদ্ধার্ঘ্য। বাবাকেই এই রেস্তোরাঁ উপহার দিয়েছেন দেব।
যাতে তিনি মন দিয়ে সাজাতে পারেন ছেলের ছেলেবেলাকে‚ একইসঙ্গে নিজের অতীতকে।
No comments:
Post a Comment