মানব ইতিহাসের এখনও পর্যন্ত দীর্ঘতম নথিভুক্ত লেজের অধিকারি ভারতের
নাগপুরের ১৮ বছরের এক যুবকের দেহ থেকে বাদ দিলেন ৭ ইঞ্চি দীর্ঘ
লেজ। যুবকের শরীর থেকে সেখানকার ডাক্তারেরা অপারেশনের মাধ্যমে এই লম্বা
লেজটিকে কেটে অপসারন করেছেন। এক বিরল ডাক্তারি অপারেশনটি হয়েছে নাগপুরের
সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে ।লেজের আকৃতি প্রায় ১৮ সেন্টিমিটার লম্বা। ধারণা করা হচ্ছে, নাগপুরের এই
যুবকের ১৮ সেমি (৭ ইঞ্চির মতো) দীর্ঘ লেজটিই মানব ইতিহাসের এখনও পর্যন্ত
দীর্ঘতম নথিভুক্ত লেজ ।
হসপিটালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডাক্তার প্রমোদ গিরি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এই লেজের কথা যুবক নিজে খুব ভালোভাবেই জানতেন। শুধু তাই নয় যুবকের পরিবারের প্রতিটি সদস্যই জানতেন তার এই লেজের কথা। কারণ এই ধরনের লেজ জন্ম থেকেই মানুষের দেহে থাকে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই লেজের দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পেতে থাকে। জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই সাধারণভাবে এই ধরনের লেজ বা শরীরের যেকোন বাড়তি অংশ অপারেশনের মাধ্যমে সংশোধন করা যায়। কিন্তু সামাজিক লজ্জার কারণে ওই যুবকের পরিবার বিষয়টি এতদিন গোপন করেছিলেন
। আর সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হল ওই যুবক ও তার পরিবার ব্যাপারটি ১৮ বছর ধরে পুষে রেখেছিলেন। গিরি আরও বলেন, ‘‘আসলে যুবকটির লেজটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তাছাড়া লেজটির ভিতরে একটি হাড়ও দেখা দিয়েছিল। ফলে শুতে বসতে খুবই অসুবিধা হচ্ছিল ছেলেটির। যার ফলে সম্প্রতি বিষয়টি ওই যুবকের কাছে লেজটি বেদনাদায়ক হয়ে উঠেছিল। ’’ আর তার কারণেই যুবকের বাবা-মা তাকে এসএসএইচ-এর ডাক্তারদের কাছে নিয়ে আসেন। ডাক্তাররা ছেলেটিকে পরীক্ষা করে দেখেন যে লেজটি আসলে তার মেরুদণ্ডেরই একটি প্রবর্ধিত অংশ। ফলে অপারেশনের জন্য ডাক্তারদের যে দলটি গঠিত হয়, তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নিউরোসার্জেনদেরও। ডাক্তার গিরি জানান, ‘‘মানবদেহে লেজের অস্তিত্ব বিরল হলেও এমনটা যে একেবারে অসম্ভব, তা নয়। এর আগেও ডাক্তারিশাস্ত্রের ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির রয়েছে। নাগপুরের এই যুবকের ১৮ সেমি (৭ ইঞ্চির মতো) দীর্ঘ লেজটিই মানব ইতিহাসের এখনও পর্যন্ত দীর্ঘতম নথিভুক্ত লেজ।’’
হসপিটালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডাক্তার প্রমোদ গিরি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এই লেজের কথা যুবক নিজে খুব ভালোভাবেই জানতেন। শুধু তাই নয় যুবকের পরিবারের প্রতিটি সদস্যই জানতেন তার এই লেজের কথা। কারণ এই ধরনের লেজ জন্ম থেকেই মানুষের দেহে থাকে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই লেজের দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পেতে থাকে। জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই সাধারণভাবে এই ধরনের লেজ বা শরীরের যেকোন বাড়তি অংশ অপারেশনের মাধ্যমে সংশোধন করা যায়। কিন্তু সামাজিক লজ্জার কারণে ওই যুবকের পরিবার বিষয়টি এতদিন গোপন করেছিলেন
। আর সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হল ওই যুবক ও তার পরিবার ব্যাপারটি ১৮ বছর ধরে পুষে রেখেছিলেন। গিরি আরও বলেন, ‘‘আসলে যুবকটির লেজটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তাছাড়া লেজটির ভিতরে একটি হাড়ও দেখা দিয়েছিল। ফলে শুতে বসতে খুবই অসুবিধা হচ্ছিল ছেলেটির। যার ফলে সম্প্রতি বিষয়টি ওই যুবকের কাছে লেজটি বেদনাদায়ক হয়ে উঠেছিল। ’’ আর তার কারণেই যুবকের বাবা-মা তাকে এসএসএইচ-এর ডাক্তারদের কাছে নিয়ে আসেন। ডাক্তাররা ছেলেটিকে পরীক্ষা করে দেখেন যে লেজটি আসলে তার মেরুদণ্ডেরই একটি প্রবর্ধিত অংশ। ফলে অপারেশনের জন্য ডাক্তারদের যে দলটি গঠিত হয়, তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নিউরোসার্জেনদেরও। ডাক্তার গিরি জানান, ‘‘মানবদেহে লেজের অস্তিত্ব বিরল হলেও এমনটা যে একেবারে অসম্ভব, তা নয়। এর আগেও ডাক্তারিশাস্ত্রের ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির রয়েছে। নাগপুরের এই যুবকের ১৮ সেমি (৭ ইঞ্চির মতো) দীর্ঘ লেজটিই মানব ইতিহাসের এখনও পর্যন্ত দীর্ঘতম নথিভুক্ত লেজ।’’
No comments:
Post a Comment